
নিজের মূল্য বোঝা এবং তা সঠিকভাবে প্রকাশ করা জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা। অনেক সময় মনে হয়, মানুষ আমাদের যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে না। কিন্তু এটি আমাদের অক্ষমতার প্রতীক নয়। বরং এটি নিজের ক্ষমতা ও গুরুত্ব স্পষ্টভাবে উপস্থাপনের সুযোগ। মানুষের আমাদের প্রতি মনোভাব অনেকটাই নির্ভর করে আমরা নিজেদের কেমনভাবে উপস্থাপন করি তার ওপর।
নিজেকে মূল্য দিতে পারলেই অন্যরা আপনাকে মূল্য দেবে। নিজের ছোট ছোট অর্জন লিখে রাখুন। এই ছোট সফলতাগুলোই আত্মবিশ্বাস গড়তে সাহায্য করে। নিজের বিশেষ গুণাবলী চিনুন—দক্ষতা, দয়া বা অন্য যেকোনো গুণ যা আপনাকে অনন্য করে তোলে। নিজের ওপর বিশ্বাস রাখুন এবং নেতিবাচক মন্তব্যে ভেঙে পড়বেন না।
কথার ভঙ্গি শক্তিশালী। কথায় আত্মবিশ্বাস দেখান—‘আমি নিশ্চিত’, ‘আমি জানি’—এই ধরনের দৃঢ় বক্তব্য ব্যবহার করুন। সংক্ষেপে এবং পরিষ্কারভাবে বলুন। আত্মবিশ্বাস প্রদর্শন করলে মানুষ স্বাভাবিকভাবে আপনাকে গুরুত্ব দেবে।
শুধু কথায় নয়, কাজেই মানুষ বিশ্বাস পায়। সময়ের মূল্য বুঝুন, প্রতিটি কাজের সেরা চেষ্টা করুন। অন্যকে সাহায্য করুন, তবে নিজের সীমারেখা বজায় রাখুন।
যারা আপনাকে যথাযথ মূল্য দেয় না, তাদের সঙ্গে সীমা স্থাপন করুন। প্রয়োজন হলে দূরত্ব বজায় রাখুন। নিজের সীমা স্পষ্ট করুন এবং ঠান্ডা মাথায় প্রতিক্রিয়া জানান।
আপনার চারপাশের মানুষ আপনার মানসিকতার ওপর প্রভাব ফেলে। এমন বন্ধু বেছে নিন যারা আপনাকে উৎসাহ দেয়, সমর্থন দেয় এবং প্রয়োজনমতো সঠিক সমালোচনা করে। নেতিবাচক মানুষ থেকে দূরে থাকুন।
স্পষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করুন এবং নিজের নীতি ও মূল্যবোধ বজায় রাখুন। দয়া ও দৃঢ়তার সমন্বয় করুন। কঠিন সময়ে ইতিবাচক থাকুন এবং নিজের দক্ষতা ও জ্ঞান বৃদ্ধিতে নিয়মিত চেষ্টা করুন।
প্রতিদিন নিজের জন্য সময় নিন, ধ্যান বা বিশ্রাম করুন। কৃতজ্ঞতা অনুশীলন করুন এবং জীবনের ইতিবাচক দিকগুলোতে মন দিন। অন্তরের শান্তি বাহ্যিক আচরণেও ফুটে ওঠে, যা অন্যদের আকৃষ্ট করে।
শেষ কথা:
আপনার মূল্য কখনোই অন্যের উপর নির্ভর করে না। এটি নির্ভর করে আপনি নিজেকে কীভাবে দেখেন এবং উপস্থাপন করেন তার ওপর। প্রথমে নিজেকে মূল্য দিন, পৃথিবী আপনাকে অনুসরণ করবে।